
ভোলা সদর উপজেলাধীন দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সম্ভ্রান্ত পরিবার গুলোর মধ্যে আবদুল করিম মুন্সীর পরিবারটি উল্লেখ যোগ্য। আবদুল করিম মুন্সী একজন ধর্মভীরু ও সমাজ সেবক ব্যাক্তি ছিলেন। তার লোকান্তরে তার একমাত্র সন্তান আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ আলী ধর্মবীরু ও দানবীর ব্যাক্তি হিসেবে পরিগনিত ছিলেন। তিনি স্বাধীনতার পর দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন। অত্র এলাকার ভবিষৎ প্রজন্মদের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ও পরকালের নাজাতের আশায়
২৯/০২/১৯৮৪ ইং সনে ৪৬ (ছিচল্লিশ) শতাংশ জমি দান করে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে ১৫/১০/১৯৯৮ ইং সনে আরো ১২ (বার) শতাংশ জমি দান করেন এবং অত্র এলাকার আজহার আলী ৬ (ছয়) শতাংশ ও খোরশেদ আলম গাজী ৩৬ (ছত্রিশ) শতাংশ জমি দান করেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ১০০ (একশত) শতাংশ জমি উপরে প্রতিষ্ঠিত । আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ আলীর ৪ (চার) পুত্র ও ৬ (ছয়) কণ্যা তাঁহারা প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তি বর্গ হিসাবে গন্য। তার পুত্র সন্তানদের নাম নিম্মরূপ।
১। মাষ্টার মো: মোবাশ্বের আহম্মদ
২। মাও: মো: মহিবুল্লাহ (প্রভাষক) ব্যাংকের হাট কো-অপারেটিভ কলেজ।
৩। মাও: মো: ওজিউল্লাহ (শিক্ষক) শাহআলী স্কুল, মিরপুর, ঢাকা।
৪। মাও: মুফতি আবু নোমান মো: ছফিউল্লাহ (সাবেক চেয়ারম্যান) দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়ন পরিষদ।
১৯৮৪ ইং সাল হইতে মাদ্রাসাটি সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় মঞ্জুরী প্রাপ্ত হয়। তারপর ১৯৮৬ ইং সালে এম.পি. ও ভুক্তি হয়। মাদ্রাসাটির শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সুপারিনটেনডেন্ট গনের তালিকা নিম্মরূপ:-
১। জনাব মাওলানা আবদুল বারি ০১/০১/১৯৮৫ ইং হইতে ০৫/০২/১৯৯৭ ইং পর্যন্ত
২। জনাব মো: আবুল কাশেম ০৬/০২/১৯৯৭ ইং হইতে ০৯/০৭/১৯৯৭ ইং পর্যন্ত (ভারপ্রাপ্ত)
৩। জনাব মাওলানা সৈয়দ আহম্মদ ১০/০৭/১৯৯৭ ইং হইতে ১৯/০৯/২০১৫ ইং হইতে
৪। জনাব মাওলানা মো: ইউনুছ ২০/০৯/২০১৫ ইং হইতে ০৭/১১/২০১৫ ইং পর্যন্ত (ভারপ্রাপ্ত)
৫। জনাব মাওলানা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ০৮/১১/২০১৫ ইং হইতে বর্তমান পর্যন্ত সুনামের সহিত চলমান দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মধ্য পশ্চিম বালিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পরিচালিত পাবলিক পরীক্ষায় প্রতি বছর সুনামের সহিত সংখ্যাগরিষ্ঠ ছাত্র/ছাত্রী বোর্ড পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুনাম অর্জন করেন। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে ১৫ জন শিক্ষক ও ৫ (পাঁচ) জন কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।